পুলি পিঠার রেসিপি
খুব সহজে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ৯টি পুলি পিঠার রেসিপি

শীত! প্রচন্ড শীত, এখন আপনার কি মন চাচ্ছে? মায়ের হাতের পুলি পিঠার কথা মনে পরে যাচ্ছে? মন খারাপ করে লাভ কি পুরানো দিন তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে চলুন নতুন কিছু সুন্দর সৃতি তৈরি করি। আপনি নিজে নিজের জন্য বা আপনার সন্তান বা আপনার পরিবারের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের পুলি পিঠার রেসিপি তৈরি করে চমকে দিতে পারেন সবাইকে। দেখে নিন রেসিপি গুলো –
নারকেলের তিল পুলি পিঠার রেসিপি
উপকরণঃ
ভাজা তিলের গুঁড়া আধা কাপ, খেজুরের গুড় ১ কাপ, এক চিমটি এলাচ গুঁড়া, দারচিনি ২-৩টা, আতপ চালের গুঁড়া ২ কাপ, পানি দেড় কাপ, লবণ স্বাদমতো, ভাজার জন্য তেল দুই কাপ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
কুরানো নারকেলে গুড় দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রান্না করতে হবে। একটু শক্ত হয়ে এলে এলাচ, তিল ও চালের গুঁড়া ছড়িয়ে আরও একটু রান্না করতে হবে। তেল উঠে পুর যখন পাকানোর মতো শক্ত হবে, তখন নামিয়ে ঠান্ডা করে লম্বাভাবে সব পুর বানিয়ে রাখতে হবে। এবার চালের গুঁড়া সেদ্ধ করে ভালোভাবে চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে হবে, যাতে খামিরে কোনো চাকা না থাকে।
একটু ঠান্ডা হলে পানি ছিটিয়ে ভালো করে ছেনে রুটি বানাতে হবে। রুটির এক কিনারে পুর রেখে বাঁকানো চাঁদের মতো উল্টে পিঠে আটকে দিতে হবে। এবার টিনের পাত অথবা পুলিপিঠা কাটার চাকতি দিয়ে কেটে নিতে হবে। কিনারে মুড়ি ভেঙে ও নকশা করা যায়। গরম তেলে মচমচে করে ভাজতে হবে।
মিষ্টি আলুর পুলি পিঠা
এই পুলি পিঠা তৈরী করতে উপরের কভারের জন্য যা যা লাগবে:
মিষ্টি আলু- ১/২ কেজি ( সিদ্ধ করে নিতে হবে),চালের গুড়া – ৩ টেবিল চামচ, ময়দা- ১ টেবিল চামচ, কনর্ফ্লাওয়ার -১ টেবিল চামচ, লবন – স্বাদমত, চিনি – ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছে অনুযায়ী), তেল – ১/২ কেজি ( ভাজার জন্য)।
মিষ্টি আলুর পুলি পিঠা তৈরী করতে পুরের জন্য যা লাগবে:
নারকেল কুড়ানো – ১ কাপ, চিনি অথবা খেজুরের গুড় – ১/২ কাপ, এলাচ ২-৩ টি।
মিষ্টি আলুর পুলি পিঠা তৈরী করবেন যেভাবে:
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে কুড়ানো নারকেল দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষন নাড়ার পর কুড়ানো নারকেলের মধ্যে চিনি বা খেজুরের গুড় ও এলাচ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকতে হবে। না হয় নিচে লেগে যেতে পারে। নাড়তে নাড়তে যখন দেখা যাবে যে, চিনি বা গুড় গলে নারকেলের সাথে মিশি গেছে তখন চুলা বন্ধ করে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
উপরের কভারের জন্য :
উপরের কভারের জন্য সিদ্ধ আলু একটি বাটিতে নিয়ে তার ভিতর একে একে সব উপকরণ ( চালের গুড়া, ময়দা, লবন, কনর্ফ্লাওয়ার, চিনি) মিশিয়ে নিতে হবে। মিশানো শেষ হয়ে গেলে এই ডোটাকে ছোট ছোট করে লেচি কেটে নিতে হবে। এই ডোটা দিয়ে ১০-১১ টি লেচি কাচা যাবে। এখন এই লেচি থেকে একটি লেচি নিয়ে প্রথমে গোল করে মাঝখানে একটু গর্ত করে এই গর্তের ভিতর নারকেলে পুর দিয়ে দিতে হবে। এখন সব পাশ থেকে ডো নিয়ে পুরটাকে ঢেকে দিতে হবে।
রাঙ্গা বা মিষ্টি আলুর পিঠা রেসিপি
ঢেকে দেওয়া হয়ে গেলে দুই পাশ থেকে ছোট ছোট করে কোণ এর মত করে দিতে হবে। তখন এটা দেখতে একটু পটলের মত লাগবে। এভাবে সবগুলো তৈরি করে নিতে হবে। এখন কড়াইতে তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে আসলে বানিয়ে রাখা সবগুলো পিঠা দিয়ে দিতে হবে। যখন পিঠার একপাশ ভাজা হয়ে আসবে তখন উল্টো পাশ ভাজতে হবে।
এভাবে করে যখন পিঠা বাদামি কালার হয়ে আসবে তখন একটি টিস্যু উপর পিঠা নামিয়ে নিতে হবে। দেখলেন তো কত সহজে রাঙ্গা আলুর পুলি পিঠা তৈরি হয়ে গেল।
সিদ্ধ পুলি পিঠার রেসিপি
উপকরণঃ
আতপ চালের গুঁড়া ৪ কাপ, খেজুরের গুড় পরিমাণমতো, কোরানো নারকেল ২ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
আতপ চালের গুঁড়া হালকা ভেজে পরিমাণমতো পানি দিয়ে খামি করে নিন। কড়াইতে গুড় ও নারকেল একসঙ্গে চুলায় দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। মিশ্রণটি শুকিয়ে আঠা আঠা করে নামিয়ে রাখুন। খামির হাতে নিয়ে গোল গোল করে বেলে মাঝখানে পুর দিয়ে অর্ধচন্দ্রাকারের আকার দিয়ে মুখটি বন্ধ করে দিন। এভাবে সব পুলি পিঠা বানিয়ে ভাপে সিদ্ধ করে গরম গরম পরিবেশন করুন। ঠাণ্ডা পুলি খাওয়ার মজাই আলাদা।
দুধ পুলি পিঠার রেসিপি
উপকরণঃ
আড়াই কাপ চালের গুঁড়া, আধা কাপ ময়দা, দেড় কাপ পানি, আধা চা-চামচ লবণ, আধা চা-চামচ ঘি, দুধ দেড় কেজি, ১ কাপ চিনি (স্বাদ মতো), ১/৩ কাপ গুঁড়াদুধ (ইচ্ছা), ৪ টেবিল-চামচ কনডেন্সড মিল্ক, দেড় কাপ নারিকেল কুড়ানো, এলাচ ২,৩টি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
পিঠার ভেতরে পুরের জন্য দেড় কাপ নারিকেল কুড়ানো (সামান্য রেখে দিতে হবে পরে দুধের মধ্যে দেওয়ার জন্য)। এখন বাকি নারিকেলের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় চামচ চিনি দিয়ে ফ্রাইপ্যানে সাত থেকে আট মিনিট ভেজে নিতে হবে (নারিকেলের পানি শুকাতে যতক্ষণ লাগে) এই পুর পিঠার ভেতরে দিতে হবে।
দুধের সঙ্গে গুঁড়াদুধ, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক আর এলাচ মিশিয়ে জ্বাল দিন। পিঠা বানানো হতে হতে দুধ খুব সুন্দর জ্বাল হয়ে হালকা রং হবে। অন্য পাতিলে পানির সঙ্গে লবণ এবং ঘি দিয়ে গরম করুন। ফুটানো পানির সঙ্গে চালের গুঁড়া ও ময়দা দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়ে খামির করতে হবে। রুটি বানানোর পিঁড়িতে গরম গরম খামির খুব ভালো করে মথে নিন।
এখন খামিরটা ১০ ভাগ করুন। এক একটি ভাগ দিয়ে ছোট ছোট রুটি বেলে অথবা হাত দিয়ে চেপে পাতলা করে ভিতরে নারিকেলর পুর দিয়ে পুলিপিঠা তৈরি করুন। এভাবে সব পিঠাগুলো তৈরি করে নিন। এখন বানানো পুলিপিঠা, ফুটিয়ে রাখা দুধের মধ্যে দিয়ে চুলার আঁচ কম রেখে ১০ মিনিট রান্না করতে হবে।
হাঁড়ি আস্তে ঝাঁকিয়ে পিঠার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিট রান্নার পর কুড়ানো নারিকেল দিয়ে আরও দুই থেকে তিন মিনিট রান্না করে নামিয়ে পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন মজাদার দুধ পুলি পিঠা।
তিল দিয়ে পুলি পিঠা
তিলের পিঠা তৈরীর উপকরণ :
পুর তৈরির জন্য যা যা লাগবে –
কালো তিল –১ কাপ ( হালকা টেলে নিতে হবে)
কুড়ানো নারকেল –১ কাপ
চিনি -১/২ কাপ
তেজপাতা -১ টি
এলাচ -৩ টি
লবন – স্বাদমতো
রুটির জন্য যা লাগবে :
চালের গুঁড়া – ২ কাপ
পানি – ২ কাপের বেশি বা পরিমাণ মতো
লবন – স্বাদমতো
তিলের পিঠা তৈরী প্রণালী :
প্রথমে একটি পাত্রে বা কড়াইতে তিল গুলোকে হালকা টেলে নিতে। এই তিল গুলোকে একটি ডিশ বা থালি তে নিয়ে নিতে হবে। এখন এ তিলগুলোকে হালকা গুরু করে নিতে হবে। তারপর পুর তৈরীর জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। এই কড়াইতে গুরু করা তিল দিতে হবে।
এখন একে একে কুড়ানো নারকেল , চিনি , এলাচ , তেজপাতা দিয়ে দিতে হবে। এখন একটি কাঠি বা চামচের সাহায্যে নাড়তে থাকতে হবে। নাড়তে নাড়তে যখন দেখা যাবে যে চিনি গলে গিয়েছে এবং সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশে গেছে তখন নামিয়ে নিতে হবে। এখন এই পুর টাকে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
তিলের পিঠা রেসিপি
ডো তৈরির জন্য চুলায় একটি পাত্রে পানি দিয়ে দিতে হবে। পানি গরম হয়ে আসলে স্বাদমতো লবন দিয়ে দিতে হবে। পানি যখন পুরা বলক চলে আসবে তখন চালের গুড়া দিয়ে দিতে হবে। চালের গুড়া দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। চালের গুঁড়া একটু সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত।
যখন চালের গুড়ার পানি শুকিয়ে একটু সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন একটি কাঠের সাহায্যে নেড়ে দিতে হবে। এখন একটি বড় ডিশ এর মধ্যে চালের গুড়ার ডো নিয়ে নিতে হবে। হালকা ঠান্ডা হয়ে আসলে এটিকে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। মাখার সময় পানি প্রয়োজন হলে দিয়ে নিতে হবে। মাখতে মাখতে একটি সফট ডো তৈরি করে নিতে হবে।
এখন এই ডো থেকে ছোট ছোট বল করে নিয়ে রুটি বেলে নিতে হবে। এই রুটিগুলো নরমাল রুটি থেকে হালকা একটু ভাড়ি থাকবে। এমন করে সবগুলো ডোটাকে রুটি বেলে নিতে হবে। তারপর রুটির এক পাশে পুর দিয়ে দিতে হবে। পুর দেওয়া শেষ হলে রুটির অন্যপাশ উল্টে ভাজ দিয়ে দিতে হবে। এখন একটি সুই বা চামচের সাহায্যে কেটে নিতে হবে।
কাটা শেষ হলে হাত দিয়ে হালকা হালকা করে চেপে দিতে হবে যেন ভিতর থেকে পুর বের হয়ে না আসে। এমন করে সবগুলো পিঠা তৈরি করতে হবে। সবগুলো পিঠা তৈরি হয়ে গেলে চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে দিতে হবে। তাওয়া গরম হয়ে আসলে একে একে পিঠা দিয়ে দিতে হবে। তারপর পিঠাগুলো দুই পাশে উল্টে পাল্টে ছেঁকে নিতে হবে। এখন নামিয়ে নিলেই হয়ে যাবে তিলের পিঠা ।
নারকেলের পুলি পিঠার রেসিপি
উপকরণঃ
নারকেল ১টি, চালের গুঁড়া আধা কেজি, চিনি ১ কাপ, ময়দা সোয়া কাপ, পানি ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, তেল পরিমান মতো৷
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে নারকেল কুড়িয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে নারকেল ও চিনি এক সঙ্গে দিয়ে পুর তৈরি করে নিন। এবার পানি ফুটিয়ে চালের গুঁড়া ও ময়দা দিয়ে খামির তৈরি করে নিন। চালের গুঁড়া সিদ্ধ হলে নামিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবার ছোট ছোট লেচি কেটে পুর ভরে মুখ বন্ধ করে পুলি বানিয়ে নিন। বানানো হয়ে গেলে কড়াইয়ে তেল গরম করে ডুবো তেলে ভাজুন।
মুগের পুলি পিঠার রেসিপি
উপকরণঃ
ভাজা মুগ ডাল – ১ পোয়া, নারিকেল কুরানো – ২ কাপ, ময়দা – ১ কাপ, চিনি – ৩ পোয়া লবণ ও সয়াবিনের তেল পরিমান মত।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মুগের ডাল গরম পানিতে সিদ্ধ করে পাটায় বেটে নিন। এবার দেড় পোয়া চিনিতে ৩/৪ কাপ পানি দিয়ে সিরা করে নিন।
তারপর নারিকেল ও বাকি চিনি মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে থাকুন। ঘন ও আঁঠালো হয়ে আসলে চুলা থেকে পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন।
এরপর ময়দা ও ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ময়ান বানিয়ে নিন। ময়দার সাথে ১/৪ ভাগ পানি ও সিদ্ধ ডাল দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন।
২০-২৫ ভাগ করে প্রত্যেক ভাগে নারিকেলের পুর দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিন। এবার ডুবো তেলে ভেজে চিনির সিরায় চুবিয়ে পরিবেশন করুন।
চন্দ্র পুলি পিঠার রেসিপি
উপকরণঃ
নারকেল – ৩ টি, চিনি – ৩ পোয়া, গুড় – আধা কেজি, ময়দা – ১ কেজি, দুধ – ২ কেজি, তেল – পরিমান মত।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে নারিকেল মিহি করে কুরে নিন। কুরানো অর্ধেক নারিকেল আবার শিল পাটায় আর ও মিহি করে বেটে নিন। বাকি অর্ধেক নারিকেলের সঙ্গে গুড় জ্বাল দিয়ে হালুয়ার মত করে পুর বানিয়ে নিন।
হালুয়া শুকিয়ে চটচটে হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। এবার একটি পাত্রে ঘন করে দুধ জ্বাল দিয়ে নিন।
তারপর পাটায় মিহি করা নারিকেল ও চিনি মিশিয়ে ময়দা দিয়ে কাই করে নিন। এরপর রুটি বেলে নারিকেলের পুর ভরে বাঁশের চটা বা ছুড়ি দিয়ে অর্ধচন্দ্রাকারে কেটে নিন।
চন্দ্রপুলি ডুবো তেলে ভাল করে ভেজে নিন। গরম গরম এই মজাদার ও সুস্বাদু চন্দ্রপুলি পরিবারে পরিবেশন করুন।
ফুলকপির ভাপা পুলি পিঠার রেসিপি
উপকরণঃ
চালের গুঁড়ো ৪ কাপ,
মাংস ১ কাপ (কিমা),
চিংড়ি মাছ আধা কাপ,
ফুলকপি কুচি ১ কাপ,
আদা বাটা আধা চা চামচ,
পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ,
কাঁচামরিচ বাটা ১ চা চামচ,
গরম মসলা গুঁড়ো আধা চা চামচ,
তেল আধা কাপ,
লবণ ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
চালের গুঁড়ো গরম পানিতে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে ডো তৈরি করে নিতে হবে।
কড়াইয়ে তেলে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে আদা বাটা, মরিচ বাটা, মাংসের কিমা, চিংড়ি ও অল্প পানি দিয়ে কষাতে থাকুন। মাঝারি আঁচে রান্না করতে হবে।
পানি শুকিয়ে গেলে ফুলকপি কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রান্না করতে হবে।
তেল উপরে উঠলে গরম মসলা দিয়ে ভাজা ভাজা করে কষিয়ে নামাতে হবে।
পুলি পিঠার আকৃতিতে পুর ভরে পিঠা বানিয়ে নিন। এবার একটা হাঁড়িতে পানি দিয়ে স্টিলের জালি বসিয়ে দিন।
পানিতে ভাপ এলে একটা পাতলা সাদা কাপড় বিছিয়ে ভাপানোর জন্য পিঠা দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভাপালে পিঠা খাওয়ার উপযোগী হবে।
এবার নামিয়ে চাটনি বা সস দিয়ে পরিবেশন করুন মজার স্বাদের ফুলকপি ভাপা পুলি।