তাড়াহুড়োতে করা সিদ্ধ ডিম ও মাছ ভাজার দুইটি অভিনব টিপস

টিপস ১:

ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হোক বা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি, সব ধরনের উপকার পাওয়া যায় ডিম থেকে। আর সেই ডিমেরই খোসা যদি ঠিক ভাবে ছাড়ানো না যায়, তাহলে তো সমস্যা। বাড়ির খুদেরাও আধখাপলা ডিম টিফিনে দিলে খেতে চায় না। তাই কোন কৌশলে ডিমের খোসা ছাড়াবেন জেনে নিন।

বেকিং সোডা

বেকিং সোডা খুবই উপকারী। সাধারণত ডিম সিদ্ধ করার সময় উপরের খোসাটি ডিমের উপর লেগে যায়। সেই জন্য সিদ্ধ হওয়ার পরে খোসা ছাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। বেকিং সোডা এক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে। ফুটন্ত জলে এক চিমটে সোডা যোগ করুন। যেখানে আপনি ডিম রেখেছেন সেই জায়গাতে দিতে পারলে ভালো। এটি ডিমের উপরের খোসাকে নরম করবে এবং খোসা ছাড়ানো সহজ হবে।

চপিং বোর্ডের উপর

ফুল বয়েল ডিমের খোসা ছাড়াতে হলে এই উপায়টি খুবই সহজ। চপিং বোর্ডে উপর সেদ্ধ ডিমটা সুন্দর করে রোল করে নিন। সামান্য চাপ দিয়ে রোল করে নিন। বেশ কয়েকবার এই কৌশলটি করলে নিজে থেকেই আলগা হয়ে যাবে খোসা।

ঠান্ডা জল

তাড়াহুড়োর সময় ফুটন্ত জল থেকে সেদ্ধ ডিম বের করেই আমরা ছাড়িয়ে নিই। এবার থেকে পাশে একটা ঠান্ডা জলের বাটি রেখে দিন। গরম ডিমগুলো ওই জলে রেখে দিন। উপর থেকে কিছু একটা ঢাকা দিয়ে দিন। কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন, এর পর ছাড়ান দেখবেন খুব সহজেই ডিমের খোসা খুলে চলে আসবে।

কলের জল

বেসিনের কল খুলে দিয়েই ছাড়াতে পারেন। সেদ্ধ হওয়ার পর ডিমগুলো কলের জলের নীচে রেখে খোসা ছাড়ানো শুরু করেন। এতে খোসা ডিমের সাদা অংশে লেগে থাকবে না আর সহজেই কাজটি হয়ে যাবে।

চামচের ব্যবহার করতে পারেন

কেউ কেউ আবার ডিমের খোসা ছাড়াতে চামচের ব্যবহারও করেন। সেদ্ধ ডিমের খোসা প্রথমে একটু ছাড়িয়ে নিন। এবার ডিমের ভিতর থেকে চামচটি ভিতরে আস্তে আস্তে প্রয়োগ করুন। এর পর ডিমটা ঘোরাতে থাকুন। দেখবেন দ্রুত ডিমের সাদা অংশ থেকে খোসা আলগা হয়ে খুলে যাবে।

টিপস ২:

অফিস যাওয়ার আগে তাড়াহুড়োতে মাছ ভাজতে গেলে বেশির ভাগ সময়ই কড়াইয়ের গায়ে লেগে যায়। কারোর আবার উল্টোনোর সময় মাছ ভেঙে গিয়ে চামড়াটা আলাদা হয়ে যায়। বাজার থেকে সুন্দর করে কাটিয়ে এনেও মাছের পিস যদি ঘেঁটে যায় তাহলে খাওয়ার সময় মুখ বেজার হয়ে যায় অধিকাংশ মানুষের। তাই মাছ ভাজার সময় এই কৌশলগুলি অবলম্বন করলে মাছ আর ভেঙে বা আটকে যাবে না।

ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন

মাছ ভাজার আগে যদি কেটে-ধুয়ে রাখা মাছের জল ভালো করে ঝরিয়ে নেওয়া যায় তাহলে এই সমস্যা মিটে যাবে অনেকটাই। সময় কম থাকলে কিচেন টিসু দিয়ে মাছের পিসগুলো ভালো করে মুছে নিন। আসলে মাছ ভাজার সময় মাছের গায়ে যে জল থাকে সেটি যদি কড়াইয়ের গরম তেলে দেওয়া হয়। তাহলে মাছ ভেঙে যেতে পারে বা ছাল উঠে গিয়ে বাজে দেখতে হয়ে যেতে পারে।

সঙ্গে সঙ্গে নাড়বেন না

কিচেন টিসু দিয়ে মাছের পিসগুলো ভালো করে তো মুছলেন, এর পর হলুদ, নুন দিয়ে মাখিয়ে রাখলেন। কিন্তু কড়াইতে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাড়তে শুরু করবেন না, বা উল্টানোর চেষ্টা করবেন না। মিনিট পাঁচেক মাছের পিসগুলি এক ভাবে রাখুন। এর পর যখন দেখবেন মাছ টুকরো লাল হয়ে গিয়েছে তখনই উল্টে দিন অপরদিকটা। নইলে কড়াইয়ে লেগে যাবে।

তেল যেন ভালো করে গরম হয়

মাছ ভাজার সময় খেয়াল রাখবেন তেল যেন সঠিক গরম হয়। এক্ষেত্রে তেল গরম হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য তেল থেকে ধোয়া মতো গরম হয়েছে কি না। অনেকেই তেল ঠিক মতো গরম হওয়ার আগেই মাছ ছেড়ে দেন, তাতে মাছ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

মাঝারি আঁচে মাছ ভাজুন

মাছ ভাজার সময় আভেন আঁচটা মাঝারি করে নিতে পারেন, এতে ভালো করে ভাজা হবে। তবে ওই সময় কড়াইয়ের মুখটা বন্ধ করে দিতে পারেন। এক দিক ভাজা হয়ে গেলে অপর দিকে উল্টোবেন, না হলে কিন্তু মাছের পিস ভেঙে যেতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button