ছানা তৈরির প্রণালি এবং ছানার পানি ফেলে না দিয়ে কি করবেন!

উপকরণঃ

দেড় লিটার দুধ

আধা চা চামচ লেবুর রস

পদ্ধতিঃ

প্রথমে একটি পাত্রে দুধ দিয়ে জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দুধ ফুটে উঠলে এতে লেবুর রস দিয়ে দুধ থেকে ছানা তৈরি করে নিন। ভালো করে জ্বাল দিয়ে নিন। পুরো দুধ যেনো ছানা হয়ে পানি আলাদা হয়ে যায়।

এরপর চুলা থেকে নামিয়ে একটি পাতলা সুতি/মসলিন কাপড়ে ছেঁকে ছানা পানি থেকে আলাদা করে ফেলুন। এবার এই কাপড়ে বেঁধে ছানা ঝুলিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট যাতে সব পানি ঝরে যায়।

এরপর নামিয়ে নিয়ে ছানা হাত দিয়ে মথে নরম করে নিন। খুব ভালো করে মথে নেবেন যেনো রুটি বানানোর ডো এর মতো হয়ে যায়। প্রায় ১০-১৫ মিনিট মথে নিলে এমনটা হবে।

ব্যস হয়ে গেল আপনার ছানা। এরপর আপনি এই ছানা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বানাতে পারেন কিংবা খালিও চিনি দিয়ে খেতে পারেন।

এখন জেনে নিন এই ফেলে দেওয়া ছানার পানি দিয়ে কি করবেন:

ছানা একটি পুষ্টিকর খাবার, সন্দেহ নেই। দুধ থেকে ছানা কাটিয়ে তোলার সময় শুধু ছানাটুকু তুলে রেখে ফেলে দেওয়া হয় ছানার পানি।

অনেকেই হয়তো জানেন না, ছানার পানিতেও থাকে অনেক রকম পুষ্টিকর উপাদান। ছানার পানিকে তুলনা করা যায় অনেকটা ভাতের মাড়ের সঙ্গে। ভাত রান্নার পর ভাতের মাড়কে পুষ্টিকর জেনেও যেমন আমরা ফেলে দিই, তেমনি অবস্থা এই ছানার পনির। দুটিরই শেষ গন্তব্য নর্দমা। ভাবতে খারাপ লাগে যে পুষ্টিজ্ঞানের অভাবে ছানার পানির পুষ্টিকে আমরা কাজে লাগাতে পারি না। অথচ ছানার পানির রয়েছে পুষ্টি পূরণের ক্ষমতা। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কাছে ছানার পরিচয় কেজিন নামে একটি প্রোটিন হিসেবে। সাধারণের কাছে এটি পরিচিত সন্দেশ, রসগোল্লার মতো মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রধান উপকরণ হিসেবে।

অন্যদিকে ছানার পানিতে থাকে অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন নামক দুটি প্রোটিন; থাকে ল্যাকটোজ, শর্করা ও কিছু স্নেহজাতীয় পদার্থ। ছানা ও ছানার পানিতে যেসব খাদ্য উপাদান থাকে, দুধেও প্রায় একই উপাদান থাকার কথা।

ছানার পানিতে যে শুধু প্রোটিন থাকেই তা নয়, এর মধ্যে থাকে রিবোফ্লেভিন নামক ভিটামিন। এই ভিটামিনটি আমরা মুখে ঘা হলে গ্রহণ করে থাকি।

শরীর গঠনে ছানার পানির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button