এই খাবারগুলো ওভেনে গরম না করাই ভাল

কিছু খাবার আছে যেগুলো কখনোই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা উচিত নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সবজি
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিপ ফ্রিজে রাখা বরফজমা সবজি এই মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলে পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়। খাবারে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই-সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় খনিজ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মাইক্রোওয়েভে গরমে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।
দুধ
মাইক্রোওয়েভে কখনো দুধ গরম করবেন না। কারণ, এতে দুধের মধ্যে থাকা কিছু প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড নষ্ট হয়ে যায়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
যেকোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য তাতে বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ মেশানো থাকে। মাইক্রোওয়েভে সেই খাবার গরম করলে কোলেস্টেরল অক্সিডেশন যৌগ উৎপন্ন হয়। এই যৌগ শরীরে গেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
সেদ্ধ ডিম
ডিম সেদ্ধ করার পর খোসাসহ ওভেনে গরম করতে দেবেন না। এতে ওভেনেরই সমস্যা হবে। কারণ গরম করতে দিলে ডিমটি ফেটে যাবে এবং ওভেন নোংরা হবে। আপনি যদি সময় বাঁচাতে ওভেনে সেদ্ধ ডিম গরম করতেই চান তবে প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে এরপর গরম করতে দিন। সম্ভব হলে ডিমের গায়ে ছুরি দিয়ে দাগ দিয়ে দিন। এতে ফেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
হিমায়িত মাংস
ঠান্ডা মাংস ওভেনে গরম করে খেলে তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে বেড়ে যায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা অনুসারে, হিমায়িত মাংস গরম করার সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো প্রথমে ডিফ্রস্ট করা এবং তারপর গরম করা।
তেল ও তেলযুক্ত খাবার
তেলের থাকে একটি নির্দিষ্ট স্মোক পয়েন্ট। এর থেকে বেশি গরম করলে তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। এছাড়া ওভেনের ভেতরে তেল সহজে গরম হয় না। কারণ মাইক্রোওয়েভ ওভেন প্রথমে পাত্রকে গরম করে এরপর ভেতরের খাবারকে। তাই তেল ও তেল জাতীয় খাবার ওভেনে গরম করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
চিপস, ওয়েফার
অনেক সময় আরেকটু ক্রিসপি করার জন্য ওয়েফার বা চিপস মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা হয়। এতে লাভ তো হবেই না বরং আরো পাতলা ও নরম হয়ে যাবে। এ ধরনের খাবার মচমচে করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একটি ট্রেতে সামান্য তেল ও মসলা ছিটিয়ে এরপর বেক করা।